গাজীপুর কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাটিতে মারা গেলেন মোট পাঁচজন।
রোববার (১৭ মার্চ) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। তাদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম (৩৫) গার্মেন্টস কর্মী ও মইদুল (৩০) কারখানার গোডাউনে কাজ করতেন।
তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, আরিফুলের শরীরের ৭০ শতাংশ আর মইদুলের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আরিফুলের স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, তাদের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে। বাবার নাম আ. রাজ্জাক বিশ্বাস। পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈরে থাকতেন তিনি। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গার্মেন্টে চাকরি করেন।
দস্যুদের নির্দেশ ছাড়া ঘাড় ফেরাতে পারছেন না নাবিকরা
এদিকে মৃত মইদুলের ভাগিনা মো. আকাশ জানান, মইদুলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বেড়াখোলা গ্রামে। বাবার নাম সাবেত খা। কালিয়াকৈরে একটি গোডাউনে কাজ করতেন তিনি।
এর আগে, শুক্রবার সকালে সোলাইমান মোল্লা (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয় এবং শনিবার সন্ধ্যায় তায়েবা (৩) নামে দগ্ধ এক শিশু ও ভোরে মনসুর (৩২) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়। তারা সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর কোনাবাড়ী তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৭ জন হাসপাতালে আসেন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে ওই রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
এলাকাবাসী জানান, তেলিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিক তার বাসার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। সেটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। একপর্যায়ে এটিকে বাইরে রাস্তায় ফেলে দেন। সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন সিলিন্ডারে লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রাস্তায় ও আশেপাশে থাকা ৩৫ জন দগ্ধ হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।