পুঁজিবাজারে টেলিযোগাযোগ খাতে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ারের ওপর আরোপ করা ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) উঠে গেছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) থেকে কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা অনুযায়ী লেনদেন করছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন রবি আজিয়াটার শেয়ার আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১০ শতাংশ কমে ২৭ টাকায় লেনদেন করছে।
এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইটে গ্রামীণফোন লিমিটেডের শেয়ারের ওপর আরোপ করা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। আর গত ৩ মার্চ থেকে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানির (বিএটিবিসি) শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা অনুযায়ী লেনদেন শুরু করেছে।
গ্রামীণফোন, বিএটিবিসি ও রবি আজিয়াটার শেয়ার রেকর্ড ডেটের পর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক নির্দেশনায় জানায় বিএসইসি। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার (১৮ মার্চ) রবি আজিয়াটার ছিল রেকর্ড ডেট। সে হিসেবে আগামী মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) থেকে কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকছে না। ফলে অন্যান্য সাধারণ কোম্পানির মতোই বিএটিবিসির শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা অনুযায়ী লেনদেন করবে।
এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৩টি কোম্পানি ও গত ২২ জানুয়ারি ২৩টির কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি। তার আগে গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বাদে অন্যান্য কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়।
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার না করা কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো, বিএসআরএম, ইসলামী ব্যাংক, কেপিসিএল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও রবি।
শেয়ারবাজারে লাগাতার পতন ঠেকাতে না পেরে গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
বৈশ্বিক সংকটের কারণে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতন রোধে প্রথমবার ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়, যা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের ১৭ জুলাই। এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় সব শেয়ারের দরে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে সংস্থাটি। পরবর্তীতে ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর ১৬৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, প্রতিদিন একটি-দুটি শেয়ার কেনাবেচার বিপরীতে এক শতাংশ হারে দর কমতে থাকায় ২০২২ সালের ১ মার্চ তৃতীয় দফায় ফের ১৬৭ শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি।