বঙ্গোপসাগরে চলতি মাসে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে, একটি নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এপ্রিলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠতে পারে। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এ মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে, পাঁচ থেকে সাতদিন বিক্ষিপ্তভাবে শিলাসহ বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টি ও হালকা বা মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
সোমবার (১ এপ্রিল) চলতি মাসের জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এপ্রিলে দেশে দুই থেকে চারটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস), মাঝারি (৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং এক থেকে দুটি তীব্র (৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে অতি তীব্র (৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও আশপাশের উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানির উচ্চতা সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যান্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এসময় রংপুর বিভাগের নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলা এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। এ পরিস্থিতি আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।