রমজান মাসে নতুন করে কোনো জিনিসের দাম আর বাড়েনি উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, দ্রব্যমূল্য এখন নিম্নমুখী।
আজ মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে রাজধানীর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পরবর্তীতে পেঁয়াজ আনতে সমস্যা হবে না জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাড়াহুড়ো করব না। আমাদের লোকাল পেঁয়াজ আছে। আমরা চাই না, আমাদের খামার খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। বাজারটা যেন এমন পরিস্থিতিতে থাকে, কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পায় এবং ভোক্তাদের অতিরিক্ত মূল্য দিতে না হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। প্রতিবেশী দেশ থেকে আমরা যদি পেঁয়াজ না আনতাম, আমাদের বিকল্প উৎস হলো মিশর, তুর্কি; জাহাজে (পেঁয়াজ) আনতে অনেক সময় লাগে। আর এই কোয়ানটিটি আনা যায় না। আনতে আনতে, ডিস্ট্রিবিউশন করতে করতে থাকে না।
‘ভারত সরকারের এই সময় একটা নির্বাচন চলছে। তাদের ওখানে কৃষক আন্দোলন হচ্ছে। তাদেরও ভোক্তা পর্যায় আছে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কিন্তু তারা কমিটমেন্ট রেখেছে,’ যোগ করেন তিনি।
দুচারজন চাইলেও আর বাজার ব্যবস্থা নষ্ট করতে পারবে না জানিয়ে টিটু বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা পেঁয়াজ, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস টিসিবির মাধ্যমে আমরা বাফার স্টক তৈরি করব। আমরা স্থায়ী দোকান করব।
‘অনেকে প্রশ্ন করেছেন কেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম? কারণ ঢাকা ও চট্টগ্রামে যদি আমরা সাপ্লাই (চেইন) তৈরি করতে পারি, তাহলে যে চাহিদাটা ঢাকায় থাকে, এই চাহিদাটা কমে যাবে—লোকাল ট্রান্সপোর্টেশন লাগবে না। লোকাল দাম এমনিই কমে যাবে। জেলা পর্যায়ে যেখানে পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে, দাম কিন্তু ১০ থেকে ১৫ টাকা এমনিই কমে গেছে,’ বলেন তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে ঈদ আসছে। ঈদের সময়ও পেঁয়াজের চাহিদা হয়। আশা করি, নতুন সরবরাহ এই চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করতে সক্ষম হবে এবং অতিরিক্ত চাহিদার কারণে আমাদের কৃষকরা তাদের জিনিস বাজারজাত করার সময় পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পেঁয়াজ না, রমজান মাসে তেলের কোনো ঘাটতি হয়নি। তেলের দাম যেটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, এর নিচে বিক্রি হয়েছে। চিনি ১৩৫-১৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। কোনো জিনিসের দাম এই রমজানে আর বাড়েনি। দ্রব্যমূল্য এখন নিম্নমুখী।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সারা বছর আমদানির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই কাজটা (আমদানি) আমরা ১২ মাস করতে চাই। কিছু ছিল আমাদের স্বল্প মেয়াদি ব্যবস্থা। এখন আমরা দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থায় যাব। কোন সময় আমাদের কৃষি পণ্য অ্যাভেইলেবল থাকবে, কোন সময় থাকবে না; গ্যাপ টাইমটা যেন আমরা আগে থেকে নির্ধারণ করে আমদানিও আগে থেকে করতে পারি, যাতে প্রয়োজন মতো আমরা সরবরাহ করতে পারি।’