শুক্রবার রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউশিপের সীমান্তরক্ষীদের বড় ঘাঁটিটি হাত ছাড়া হওয়ার পর জান্তা বাহিনী শহরের দিকে সরে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার আরাকান আর্মি কি কান পাইন বর্ডার গার্ড পুলিশ সদর দপ্তর আক্রমণ করে। এখানে মোতায়েন ছিল পুলিশ ও জান্তা সেনা। সূত্র: ইরাবতি
কি কান পাইন গ্রামটি মংডু থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। আরাকান আর্মি সূত্র জানিয়েছে, এই ঘাঁটিটি পতনের আগে জান্তা বাহিনীর কমান্ডারদের হেলিকপ্টার যোগে সরিয়ে নেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, কি কান পাইন সেনাঘাঁটির পতনের মাধ্যমে মংডুর উত্তরাঞ্চল মুক্ত হলেও টাউনশিপের অন্যান্য আউটপোস্টে এখনো জান্তা সেনারা রয়েছে। পূর্ব মংডু শহরের নাইয়ো থিট কাই এবং ইন ডিন আউটপোস্ট এখনো জান্তাদের দখলে রয়েছে।
রাখাইনের গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রায় ৫০ জন জান্তা সেনা আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনও পুলিশ সদর দপ্তরকে রক্ষা করছে। তবে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি ইরাবতি।
বাসিন্দারা জানিয়েছে, কিছু জান্তা সেনা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং জান্তা বাহিনী শুক্র ও শনিবার মংডু, বুথিডং ও পাকতু টাউনশিপে বিমান ও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে।
একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, আরাকান আর্মি বুথিডং, মংডু ও আনে হামলা চালিয়েছে। এবার তারা রাজধানী সিত্তয়ে ও কাইউকফিউতে বড় ধরনের হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরাকান আর্মি ইতোমধ্যেই উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের বুথিডং টাউনশিপের আরেকটি বড় সামরিক সদর দপ্তর মিলিটারি অপারেশনস কমান্ডে হামলা শুরু করেছে। গত নবেম্বরে হামলা শুরুর পর থেকে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের নয়টি শহর এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শিন রাজ্যের পালেতওয়া টাউনশিপ দখল করে নিয়েছে।