ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় লাশের সারি বাড়ছেই

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
  • 85

গাজায় লাশের সারি বাড়ছেই। প্রতিদিনই ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। সেখানে হতাহতদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু। ছোট ছোট শিশুরা জানেও না যে কেন তাদের ওপর এভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। সেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসন কবে শেষ হবে তাও অনিশ্চিত।

অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রায় আট মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদিকে হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তারা কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জাতিসংঘ-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে।

গাজায় অবস্থানরত ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেছেন, সেখানকার বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি, অর্থনীতি সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে এখনো বোমা ফেলা হচ্ছে।

হিজবুল্লাহ এক ঘোষণায় জানিয়েছে যে, লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তাদের এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। বেশ কিছু প্রতিবেদনে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, আবু তালেব নামেও পরিচিত ছিলেন তালেব আবদুল্লাহ।

গত কয়েক মাসের মধ্যে নিহত হিজবুল্লাহর সবচেয়ে সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন তিনি। এছাড়া দক্ষিণ লেবাননের জোয়াইয়া শহরে হামলায় বেশ কয়েকজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনের কাছে কাফর দান শহরে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের সমর্থিত একটি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ ব্যাপারে আলোচনায় একমত হয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১১ জুন) হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তাদের এই অবস্থানকে আশার আলো হিসেবে দেখছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তেল আবিবে ইসরায়েলি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা নিয়ে কি পরিকল্পনা করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা চলবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ফিলিস্তিন। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ১৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৪ হাজার ৮৩২ জন।

ট্যাগস

গাজায় লাশের সারি বাড়ছেই

আপডেট সময় ১১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

গাজায় লাশের সারি বাড়ছেই। প্রতিদিনই ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। সেখানে হতাহতদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু। ছোট ছোট শিশুরা জানেও না যে কেন তাদের ওপর এভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। সেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসন কবে শেষ হবে তাও অনিশ্চিত।

অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রায় আট মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদিকে হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তারা কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জাতিসংঘ-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে।

গাজায় অবস্থানরত ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেছেন, সেখানকার বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি, অর্থনীতি সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে এখনো বোমা ফেলা হচ্ছে।

হিজবুল্লাহ এক ঘোষণায় জানিয়েছে যে, লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তাদের এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। বেশ কিছু প্রতিবেদনে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, আবু তালেব নামেও পরিচিত ছিলেন তালেব আবদুল্লাহ।

গত কয়েক মাসের মধ্যে নিহত হিজবুল্লাহর সবচেয়ে সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন তিনি। এছাড়া দক্ষিণ লেবাননের জোয়াইয়া শহরে হামলায় বেশ কয়েকজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনের কাছে কাফর দান শহরে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের সমর্থিত একটি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ ব্যাপারে আলোচনায় একমত হয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১১ জুন) হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তাদের এই অবস্থানকে আশার আলো হিসেবে দেখছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তেল আবিবে ইসরায়েলি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা নিয়ে কি পরিকল্পনা করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা চলবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ফিলিস্তিন। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ১৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৪ হাজার ৮৩২ জন।