ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫ মাসে ডিএসইর মূলধন গায়েব ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • 84

দীর্ঘদিন যাবত দেশের শেয়ারবাজারে চলছে পতনের মাতম। ধারাবাহিক পতনের মাতমে চলতি বছরের প্রায় সাড়ে ৫ মাসে (০১ জানুয়ারি-১৩ জুন) বিনিয়োগকারীরা মূলধন হারিয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। আর শেয়ারবাজারের সূচক উধাও হয়ে গেছে ১ হাজার ১২৯ পয়েন্ট।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ০১ জানুয়ারি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উদ্বোধনী মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। আর সর্বশেষ ১৩ জুন ডিএসইর মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা। এই সাড়ে ৫ মাসে ডিএসইর মূলধন তথা বিনিয়োগকারীদের মূলধন গায়েব হয়ে গেছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, ০১ জানুয়ারি ডিএসইর উদ্বোধনী সূচক ছিল ৬ হাজার ২৪৬ পয়েন্ট। যা ১৩ জুন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১১৭ পয়েন্টে। এই সময়ে ডিএসইর সূচক কমেছে ১ হাজার ১২৯ পয়েন্ট।

আলোচ্য সময়ে তালিকাভুক্ত ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠানের দর কমেছে। বিপরীতে মাত্র ৪১টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে। বাকি ৩৫টির দর রয়েছে অপরিবর্তিত।

দর হারানো ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দর কমেছে ৪০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ। আর ১৬১টির দর কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি।

এই সময়ে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে জিএসপি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, বিডি ফাইন্যান্স, এইচআর টেক্সটাইল, রিংশাইন টেক্সটাইল, ফিকিক্স ফাইন্যান্স, প্রাইম ইন্সুরেন্স, বিডি ল্যাম্পস, ইসলামী ফাইন্যান্স, ডরিন পাওয়ার, ফরচুন সুজ, ওয়ালটন, এসিআই, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স, একমি পেস্টিসাইডস, বসুন্ধরা পেপার, অ্যাপেলো ইস্পাত, এমএল ডাইং ও এমারেন্ড ওয়েলের।

বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ ঘুরে জানা গেছে, আলোচ্য সময়ে যেসব প্রতিষ্ঠানের দর বেশি কমেছে এবং যেগুলোতে বিনিয়োগকারীরা মার্জিনে বিনিয়োগ করেছিলেন, তাদের প্রায় সবাই ফোর্স সেলের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। আর যেগুলোতে মার্জিন ঋণ ছিল না, সেসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা পতনের তান্ডবে এখন শর্ষে ফুল দেখছেন। সূত্র : ডিএসই, স্টকনাও।

ট্যাগস

৫ মাসে ডিএসইর মূলধন গায়েব ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

দীর্ঘদিন যাবত দেশের শেয়ারবাজারে চলছে পতনের মাতম। ধারাবাহিক পতনের মাতমে চলতি বছরের প্রায় সাড়ে ৫ মাসে (০১ জানুয়ারি-১৩ জুন) বিনিয়োগকারীরা মূলধন হারিয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। আর শেয়ারবাজারের সূচক উধাও হয়ে গেছে ১ হাজার ১২৯ পয়েন্ট।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ০১ জানুয়ারি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উদ্বোধনী মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। আর সর্বশেষ ১৩ জুন ডিএসইর মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা। এই সাড়ে ৫ মাসে ডিএসইর মূলধন তথা বিনিয়োগকারীদের মূলধন গায়েব হয়ে গেছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, ০১ জানুয়ারি ডিএসইর উদ্বোধনী সূচক ছিল ৬ হাজার ২৪৬ পয়েন্ট। যা ১৩ জুন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১১৭ পয়েন্টে। এই সময়ে ডিএসইর সূচক কমেছে ১ হাজার ১২৯ পয়েন্ট।

আলোচ্য সময়ে তালিকাভুক্ত ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠানের দর কমেছে। বিপরীতে মাত্র ৪১টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে। বাকি ৩৫টির দর রয়েছে অপরিবর্তিত।

দর হারানো ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দর কমেছে ৪০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ। আর ১৬১টির দর কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি।

এই সময়ে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে জিএসপি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, বিডি ফাইন্যান্স, এইচআর টেক্সটাইল, রিংশাইন টেক্সটাইল, ফিকিক্স ফাইন্যান্স, প্রাইম ইন্সুরেন্স, বিডি ল্যাম্পস, ইসলামী ফাইন্যান্স, ডরিন পাওয়ার, ফরচুন সুজ, ওয়ালটন, এসিআই, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স, একমি পেস্টিসাইডস, বসুন্ধরা পেপার, অ্যাপেলো ইস্পাত, এমএল ডাইং ও এমারেন্ড ওয়েলের।

বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ ঘুরে জানা গেছে, আলোচ্য সময়ে যেসব প্রতিষ্ঠানের দর বেশি কমেছে এবং যেগুলোতে বিনিয়োগকারীরা মার্জিনে বিনিয়োগ করেছিলেন, তাদের প্রায় সবাই ফোর্স সেলের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। আর যেগুলোতে মার্জিন ঋণ ছিল না, সেসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা পতনের তান্ডবে এখন শর্ষে ফুল দেখছেন। সূত্র : ডিএসই, স্টকনাও।