ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব গণমাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • 20

বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বিবিসি, আল-জাজিরাসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম। আন্দোলনের শুরুতে ১১ জুন বিবিসি ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরি সংরক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিকে উচ্চ-বেতন এবং সুযোগ-সুবিধার চাকরি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আর এই চাকরির নিয়োগে কোনো বৈষম্য যেন না হয় সেই দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে বলেও জানানো হয়।

এদিকে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কাতার-ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে শতাধিক শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনটিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ‘কোটাবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উচ্চ-বেতনের সরকারি সিভিল সার্ভিসের চাকরিগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীর জন্য অর্ধেকের বেশি কোটা সংরক্ষণ করা হয়। সুবিধাভোগী ওই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা পাওয়ার বিষয়টিও আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনগুলোর সংঘর্ষের কথাও উল্লেখ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ জন শিক্ষার্থী সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিবেদনটিতে আজ মঙ্গলবারও বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।

‘বাংলাদেশে সরকারি চাকরির কোটা নিয়ে সংঘর্ষে বাংলাদেশে অসংখ্য আহত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি)।

প্রতিবেদনের শুরুতেই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে পুলিশের টিয়ারগ্যাস এবং লাঠিপেটা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বাড়ির ভেতর ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন এবং পুলিশের হামলার বিষয়টি উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক হলেও সরকারি সিভিল সার্ভিসের কাজ করার সুযোগ পান মাত্র ৩ হাজারের মতো। আর এই চাকরির নিয়োগ যেন কোটার পরিবর্তে মেধার ভিত্তিতে হয়, সেটাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি।

‘বাংলাদেশ: মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোর চাকরি বরাদ্দ নিয়ে তীব্র সংঘর্ষে কয়েক ডজন আহত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্কাই নিউজ। প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩০ শতাংশের বেশি কোটা দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্ক্রলের প্রতিবেদনে ‘বাংলাদেশের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘স্লোগান’ দিয়ে শিরোনাম করা হয়।

এ ছাড়া মঙ্গলবার বাংলাদেশি আন্দোলন নিয়ে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমসহ তুর্কিয়ের আনাদুলু এজেন্সি এবং আরব নিউজও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সবগুলো মাধ্যমই এই আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে নিয়ে সরকারের উদ্বেগ ও আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছে।

ট্যাগস

বিশ্ব গণমাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলন

আপডেট সময় ১০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বিবিসি, আল-জাজিরাসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম। আন্দোলনের শুরুতে ১১ জুন বিবিসি ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরি সংরক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিকে উচ্চ-বেতন এবং সুযোগ-সুবিধার চাকরি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আর এই চাকরির নিয়োগে কোনো বৈষম্য যেন না হয় সেই দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে বলেও জানানো হয়।

এদিকে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কাতার-ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে শতাধিক শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনটিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ‘কোটাবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উচ্চ-বেতনের সরকারি সিভিল সার্ভিসের চাকরিগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীর জন্য অর্ধেকের বেশি কোটা সংরক্ষণ করা হয়। সুবিধাভোগী ওই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা পাওয়ার বিষয়টিও আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনগুলোর সংঘর্ষের কথাও উল্লেখ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ জন শিক্ষার্থী সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিবেদনটিতে আজ মঙ্গলবারও বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।

‘বাংলাদেশে সরকারি চাকরির কোটা নিয়ে সংঘর্ষে বাংলাদেশে অসংখ্য আহত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি)।

প্রতিবেদনের শুরুতেই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে পুলিশের টিয়ারগ্যাস এবং লাঠিপেটা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বাড়ির ভেতর ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন এবং পুলিশের হামলার বিষয়টি উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক হলেও সরকারি সিভিল সার্ভিসের কাজ করার সুযোগ পান মাত্র ৩ হাজারের মতো। আর এই চাকরির নিয়োগ যেন কোটার পরিবর্তে মেধার ভিত্তিতে হয়, সেটাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি।

‘বাংলাদেশ: মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোর চাকরি বরাদ্দ নিয়ে তীব্র সংঘর্ষে কয়েক ডজন আহত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্কাই নিউজ। প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩০ শতাংশের বেশি কোটা দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্ক্রলের প্রতিবেদনে ‘বাংলাদেশের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘স্লোগান’ দিয়ে শিরোনাম করা হয়।

এ ছাড়া মঙ্গলবার বাংলাদেশি আন্দোলন নিয়ে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমসহ তুর্কিয়ের আনাদুলু এজেন্সি এবং আরব নিউজও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সবগুলো মাধ্যমই এই আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে নিয়ে সরকারের উদ্বেগ ও আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছে।