ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর কাছে যা চাইলেন নিহত আবু সাঈদের পরিবার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪
  • 20

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে নিহত আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন বলেন, আমার প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখার সময় আলাদাভাবে কথা বলার জন্য দুই মিনিট সময় পাই। পরে তিনি আমাদের ১০ লক্ষ টাকার একটা সঞ্চয়পত্র দেন। এর আগে বিকাশ, নগদ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মতো সাহায্য পেয়েছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলেছি আবু সাঈদকে নিয়ে আমাদের অনেক আশা ছিল। আমাদের পরিবারের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সে। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে আমরা তাদের বিচার চাই।

তিনি আরও বলেন, ‘সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আমি আপনাদের বেদনা বুঝি। আমাকে প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই হারানোর বেদনা নিয়ে চলতে হয়। বাপ-মায়ের লাশটাও দেখতে পারিনি, দেশে ফিরতে পারিনি।

গত ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।

ট্যাগস

প্রধানমন্ত্রীর কাছে যা চাইলেন নিহত আবু সাঈদের পরিবার

আপডেট সময় ০১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে নিহত আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন বলেন, আমার প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখার সময় আলাদাভাবে কথা বলার জন্য দুই মিনিট সময় পাই। পরে তিনি আমাদের ১০ লক্ষ টাকার একটা সঞ্চয়পত্র দেন। এর আগে বিকাশ, নগদ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মতো সাহায্য পেয়েছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলেছি আবু সাঈদকে নিয়ে আমাদের অনেক আশা ছিল। আমাদের পরিবারের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সে। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে আমরা তাদের বিচার চাই।

তিনি আরও বলেন, ‘সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আমি আপনাদের বেদনা বুঝি। আমাকে প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই হারানোর বেদনা নিয়ে চলতে হয়। বাপ-মায়ের লাশটাও দেখতে পারিনি, দেশে ফিরতে পারিনি।

গত ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।