ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ থেকে নতুন সময়সূচিতে অফিস-ব্যাংক ও পুঁজিবাজার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • 34

তিনদিন বন্ধ ও কয়েক দিন সীমিত সময়ে অফিস ও ব্যাংকের কার্যক্রম চলার পর আজ থেকে স্বাভাবিক সময়সূচিতে অফিস ও ব্যাংকের কার্যক্রম চলবে। গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক পৃথক বার্তায় সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে অফিস।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বুধবার থেকে সারা দেশের ব্যাংকগুলো পুনরায় তাদের নিয়মিত কর্মঘণ্টায় ফিরে যাবে। এর ফলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা। সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) হালনাগাদ সময়সূচি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, লেনদেনের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এবং আনুষঙ্গিক অফিস কাজের জন্য সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই সময়ে সব ধরনের স্বাভাবিক লেনদেন যথারীতি চলবে।

এ ছাড়া আজ থেকে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান অর্থসূচককে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সরকারের নির্দেশনার আলোকে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময়সূচি স্বাভাবিক নিয়মে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সরকারের নতুন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে পোস্ট ক্লোজিং থাকবে দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ব্যাপক প্রাণহানি ও সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে কারফিউ ও সরকারি ছুটির কারণে তিন দিন বন্ধ থাকার পর গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা হয়। এরপর ২৮ থেকে ৩০ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা ছিল ব্যাংক।

গত ১৮ জুলাই থেকে ইন্টারনেট বন্ধ ও গতি কম থাকায় সীমিত পরিসরে চলে দেশের ব্যাংকিং কার্যক্রম। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি ছুটির কারণে টানা পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ইন্টারনেট বন্ধের কারণে বৈদেশিক লেনদেন থেমে যাওয়ায় দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সেসময় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও প্রায় বন্ধ হয়ে যায় এবং নগদ অর্থের অভাবে অনেক এটিএম বুথ অকেজো হয়ে পড়ে।

ট্যাগস

আজ থেকে নতুন সময়সূচিতে অফিস-ব্যাংক ও পুঁজিবাজার

আপডেট সময় ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

তিনদিন বন্ধ ও কয়েক দিন সীমিত সময়ে অফিস ও ব্যাংকের কার্যক্রম চলার পর আজ থেকে স্বাভাবিক সময়সূচিতে অফিস ও ব্যাংকের কার্যক্রম চলবে। গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক পৃথক বার্তায় সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে অফিস।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বুধবার থেকে সারা দেশের ব্যাংকগুলো পুনরায় তাদের নিয়মিত কর্মঘণ্টায় ফিরে যাবে। এর ফলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা। সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) হালনাগাদ সময়সূচি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, লেনদেনের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এবং আনুষঙ্গিক অফিস কাজের জন্য সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই সময়ে সব ধরনের স্বাভাবিক লেনদেন যথারীতি চলবে।

এ ছাড়া আজ থেকে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান অর্থসূচককে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সরকারের নির্দেশনার আলোকে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময়সূচি স্বাভাবিক নিয়মে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সরকারের নতুন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে পোস্ট ক্লোজিং থাকবে দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ব্যাপক প্রাণহানি ও সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে কারফিউ ও সরকারি ছুটির কারণে তিন দিন বন্ধ থাকার পর গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা হয়। এরপর ২৮ থেকে ৩০ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা ছিল ব্যাংক।

গত ১৮ জুলাই থেকে ইন্টারনেট বন্ধ ও গতি কম থাকায় সীমিত পরিসরে চলে দেশের ব্যাংকিং কার্যক্রম। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি ছুটির কারণে টানা পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ইন্টারনেট বন্ধের কারণে বৈদেশিক লেনদেন থেমে যাওয়ায় দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সেসময় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও প্রায় বন্ধ হয়ে যায় এবং নগদ অর্থের অভাবে অনেক এটিএম বুথ অকেজো হয়ে পড়ে।