গ্যালারিতে থাকা দর্শকের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে সাকিব বলেন, ‘আপনি দেশের জন্য কী করেছেন।’ উত্তরে সাকিবকে সেই দর্শক বলেন, ‘আমি তো আর এমপি নই, আমি আমার পরিবার সামলাই।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করায় সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে অনেক আগে থেকেই সমালোচনা হচ্ছে। জাতীয় দলের এই দুই ক্রিকেটার আওয়ামী লিগের নির্বাচিত সংসদ সদস্যও। জাতীয় দলে অনেক ক্রিকেটারই কোটা সংস্কার আন্দোলন, হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেও সাকিব ও মাশরাফি কোনো ধরনের মন্তব্য করেন করেননি। গত কিছুদিন তাদেরকে নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে, এবার ভক্ত-সমর্থকদের রোষাণলে পড়েছেন তারা। দুজনই ট্রলের শিকার হচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে মেজর ক্রিকেট লিগ (এমসিএল) শেষ করে কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে গেছেন সাকিব। বাংলা টাইগার্স মিসিসাগার হয়ে খেলছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। দলটির হয়ে সর্বশেষ ম্যাচের পর এক দর্শকের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান তিনি। নিশ্চুপ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করায় গ্যালারিতে থাকা সেই দর্শককে সাকিব পাল্টা প্রশ্ন করেন, তিনি দেশের জন্য কী করেছেন।
একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, টরেন্টো ন্যাশনালসের বিপক্ষে ম্যাচের পর গ্যালারি পাশ ঘেঁষে হেটে হেটে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন সাকিব। এমন সময় একজন দর্শক সাকিবের অবস্থান সম্পর্ক জানতে চান। তিনি জানতে চেয়েছেন দেশের ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীদের পক্ষে তার নিশ্চুপ থাকার কারণ।
তবে সেই জিজ্ঞাসায় ভালো ভাষা ব্যবহার করেননি সেই দর্শক। সাকিবের চোখের সমস্যার কথা উল্লেখ করে বিবেক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরপর সেই দর্শকের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে সাকিব বলেন, ‘আপনি দেশের জন্য কী করেছেন।’ উত্তরে সাকিবকে সেই দর্শক বলেন, ‘আমি তো আর এমপি নই, আমি আমার পরিবার সামলাই।’ এরপর সাকিব আবারও একই প্রশ্ন করলে সেই দর্শক জবাবে বলেন, ‘পদত্যাগ করেন।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে সবার আগে প্রতিক্রিয়া জানান তরুণ ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়। গত ১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের পেজ থেকে রক্তপাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দেন তিনি। হৃদয়ের কিছুক্ষণ পর একই বার্তা দেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। এরপর আরও কয়েকজন ক্রিকেটার প্রতিক্রিয়া জানান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
কিন্তু সেই তালিকায় ছিলেন না পঞ্চপাণ্ডব খ্যাত সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটার সাকিব, মাশরাফি, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। সেদিনই তাদেরকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। ১৭ জুলাই বিভিন্ন সময়ে রক্তপাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দেন মুশফিক, তামিম ও মাহমুদউল্লাহ। তবে পাঁচ অভিজ্ঞর বাকি দুজন সাকিব ও মাশরাফি এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।