ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইতিহাস সৃষ্টি করলো শেয়ারবাজার, নতুন স্বপ্নে বিনিয়োগকারীরা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪
  • 29

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত তিন কর্মদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে রেকর্ড উত্থান হয়েছে। এই তিন কর্মদিবসে মধ্যে মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ১৯৭ পয়েন্ট এবং বুধবার বড়েছে ১৯৩ পয়েন্ট। আর আজ বৃহস্পতিবার সূচক বেড়েছে ৩০৬ পয়েন্ট।

দেশে অন্তবর্তী সরকার গঠনের খবরে গত তিন দিনে ডিএসইর সূচক বেড়েছে ৬৯৩ পয়েন্ট। এটি বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। এর আগে এই রকম টানা তিন দিনের উত্থানে ডিএসই সূচকের এমন উত্থান হয়নি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ড. ইউনূসের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর আকুন্ঠ আস্থার কারণেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এমন আস্থার ভিত তৈরি হয়েছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

বিনিয়োগকারীরা ও বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত আড়াই বছরে লাগামহীন পতনে দেশের শেয়ারবাজার তলালিতে নেমে গিয়েছিল। দীর্ঘদিনের ঘুনে ধরা শেয়ারবাজার এখন বিশাল শক্তিমত্তা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তাঁরা আশা করছেন, ড. ইউনূসের ছোঁয়ায় দেশের শেয়ারবাজার নতুন উচ্চতার দিকে অগ্রসর হবে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৭ হাজার ১০৫ পয়েন্ট। এরপর থেকেই চলেছে থেমে থেমে পতনের ছোবল। পতনের ছোবলে ২ বছর ৭ মাসে ডিএসইর সূচক কমেছে প্রায় ২ হাজার পয়েন্ট। অথচ এরমধ্যে শেয়ারবাজারে নতুন আইপিও শেয়ার এসেছে ২০টির বেশি। যেগুলোর মূলধন সূচকে যোগ হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সময়ে বাজারে তারল্য সংকটের কারণে যতটা কমেছে, তারচেয়ে বেশি কমেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত ইসলামের সহযোগিতায় আওয়ামী পন্থীদের লুটপাটে শেয়ারবাজারের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা শিবলী রুবাইয়াত ও তার আওয়ামী পন্থী দোসরদের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত দাবি করেছেন।

বৃহস্পতিবারের বাজার পর্যালোচনা

আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স ৩০৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৫ পয়েন্টে।অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়া সূচক ৫৫.৭৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১১০.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইতে ১ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৭৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৮৩০ কোটি ৯১ লাখ বা ১০৭ শতাংশ।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩৬৪টি বা ৯১.৪৬ শতাংশের। আর দর কমেছে ২৭টি বা ৬.৭৮ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৭টি বা ১.৭৬ শতাংশের।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেবঞ্জে (সিএসই) আজ ২২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ২৪৪টির, কমেছে ৩১টির এবং পরিবর্তন হয়নি ১০টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৬২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁডিয়েছে ১৬৮০০ পয়েন্টে।

ট্যাগস

ইতিহাস সৃষ্টি করলো শেয়ারবাজার, নতুন স্বপ্নে বিনিয়োগকারীরা

আপডেট সময় ০৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত তিন কর্মদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে রেকর্ড উত্থান হয়েছে। এই তিন কর্মদিবসে মধ্যে মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ১৯৭ পয়েন্ট এবং বুধবার বড়েছে ১৯৩ পয়েন্ট। আর আজ বৃহস্পতিবার সূচক বেড়েছে ৩০৬ পয়েন্ট।

দেশে অন্তবর্তী সরকার গঠনের খবরে গত তিন দিনে ডিএসইর সূচক বেড়েছে ৬৯৩ পয়েন্ট। এটি বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। এর আগে এই রকম টানা তিন দিনের উত্থানে ডিএসই সূচকের এমন উত্থান হয়নি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ড. ইউনূসের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর আকুন্ঠ আস্থার কারণেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এমন আস্থার ভিত তৈরি হয়েছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

বিনিয়োগকারীরা ও বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত আড়াই বছরে লাগামহীন পতনে দেশের শেয়ারবাজার তলালিতে নেমে গিয়েছিল। দীর্ঘদিনের ঘুনে ধরা শেয়ারবাজার এখন বিশাল শক্তিমত্তা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তাঁরা আশা করছেন, ড. ইউনূসের ছোঁয়ায় দেশের শেয়ারবাজার নতুন উচ্চতার দিকে অগ্রসর হবে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৭ হাজার ১০৫ পয়েন্ট। এরপর থেকেই চলেছে থেমে থেমে পতনের ছোবল। পতনের ছোবলে ২ বছর ৭ মাসে ডিএসইর সূচক কমেছে প্রায় ২ হাজার পয়েন্ট। অথচ এরমধ্যে শেয়ারবাজারে নতুন আইপিও শেয়ার এসেছে ২০টির বেশি। যেগুলোর মূলধন সূচকে যোগ হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সময়ে বাজারে তারল্য সংকটের কারণে যতটা কমেছে, তারচেয়ে বেশি কমেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত ইসলামের সহযোগিতায় আওয়ামী পন্থীদের লুটপাটে শেয়ারবাজারের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা শিবলী রুবাইয়াত ও তার আওয়ামী পন্থী দোসরদের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত দাবি করেছেন।

বৃহস্পতিবারের বাজার পর্যালোচনা

আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স ৩০৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৫ পয়েন্টে।অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়া সূচক ৫৫.৭৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১১০.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইতে ১ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৭৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৮৩০ কোটি ৯১ লাখ বা ১০৭ শতাংশ।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩৬৪টি বা ৯১.৪৬ শতাংশের। আর দর কমেছে ২৭টি বা ৬.৭৮ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৭টি বা ১.৭৬ শতাংশের।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেবঞ্জে (সিএসই) আজ ২২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ২৪৪টির, কমেছে ৩১টির এবং পরিবর্তন হয়নি ১০টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৬২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁডিয়েছে ১৬৮০০ পয়েন্টে।