ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে দেশ ছাড়লেন শেয়ারবাজারের খলনায়ক সালমান এফ রহমান

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
  • 25

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজোয়ারের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে-পরে তাঁর বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি দেশ থেকে পালিয়েছেন।

সেই সময় পালিয়েছেন শেয়ারবাজারের খলনায়ক শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও। বেক্সিমকো গ্রুপের এই কর্ণধার শেয়ারবাজারে ‘দরবেশ’ হিসাবে বেশি পরিচিত।

শেয়ারবাজার ও ব্যাংক খাতে অসংখ্য কেলেঙ্কারির অগ্রনায়ক বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একই বিমানে করে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করায় সরকারের দমনপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে ওই আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে পরিণত হয়। আন্দোলন মোকাবেলায় পুলিশ, র‍্যাব, বর্ডার গার্ড ও সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানোর পরও তা নিয়ন্ত্রণে আসায় ভয়ে সরকারের অনেক মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামীলীগ নেতা রোববার রাতের মধ্যে বিদেশে পালিয়ে যান।

বিবিসি জানিয়েছে, সালমান এফ রহমানও রোববার রাতে বিদেশ পালিয়েছেন বলে নানা গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা পর্যন্ত তিনি দেশেই ছিলেন। বিবিসর প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তাকে, তার বোন রেহানা ও সালমান এফ রহমানকে হেলিকপ্টারে করে কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমানে করে তাদেরকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে গজিয়াবাদ হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। তখন থেকে তাঁরা বিমানঘাঁটির কাছের একটি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছিলেন।

এদিকে, ভারতের ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার সঙ্গীরা একে একে দিল্লী ছাড়তে শুরু করেছেন। তবে কে কে দিল্লী ছেড়েছেন, তাদের গন্তব্য কোথায় তা জানাতে পারেনি পত্রিকাটি। দিল্লী ছেড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সালমান এফ রহমান আছেন কিনা, নাকি তিনি হাসিনার সঙ্গে দিল্লীতেই অবস্থান করছেন তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিবিসর প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান হচ্ছেন ১৯৭৫ সালে জাতির জনকের সঙ্গে ঘাতকের গুলিতে নিহত শেখ হাসিনার ভাই শেখ কামালের বন্ধু। দেশের পরিস্থিতি যে ক্রমেই সরকারের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেটি তিনি ৫ আগস্টের আগেই বুঝতে পেরেছিলেন।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুসারে, তিনি শেখ হাসিনাকে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে নিরাপদে সরে যাওয়ার অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু একরোখা শেখ হাসিনা তাতে কর্ণপাত করেননি।

তবে পরবর্তীতে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার বিশাল মিছিল গণভবনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের পরামর্শ এবং শেখ রেহানা ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের অনুরোধে তিনি পদত্যাগে সম্মত হন।

ট্যাগস

যেভাবে দেশ ছাড়লেন শেয়ারবাজারের খলনায়ক সালমান এফ রহমান

আপডেট সময় ১২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজোয়ারের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে-পরে তাঁর বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি দেশ থেকে পালিয়েছেন।

সেই সময় পালিয়েছেন শেয়ারবাজারের খলনায়ক শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও। বেক্সিমকো গ্রুপের এই কর্ণধার শেয়ারবাজারে ‘দরবেশ’ হিসাবে বেশি পরিচিত।

শেয়ারবাজার ও ব্যাংক খাতে অসংখ্য কেলেঙ্কারির অগ্রনায়ক বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একই বিমানে করে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করায় সরকারের দমনপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে ওই আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে পরিণত হয়। আন্দোলন মোকাবেলায় পুলিশ, র‍্যাব, বর্ডার গার্ড ও সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানোর পরও তা নিয়ন্ত্রণে আসায় ভয়ে সরকারের অনেক মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামীলীগ নেতা রোববার রাতের মধ্যে বিদেশে পালিয়ে যান।

বিবিসি জানিয়েছে, সালমান এফ রহমানও রোববার রাতে বিদেশ পালিয়েছেন বলে নানা গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা পর্যন্ত তিনি দেশেই ছিলেন। বিবিসর প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তাকে, তার বোন রেহানা ও সালমান এফ রহমানকে হেলিকপ্টারে করে কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমানে করে তাদেরকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে গজিয়াবাদ হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। তখন থেকে তাঁরা বিমানঘাঁটির কাছের একটি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছিলেন।

এদিকে, ভারতের ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার সঙ্গীরা একে একে দিল্লী ছাড়তে শুরু করেছেন। তবে কে কে দিল্লী ছেড়েছেন, তাদের গন্তব্য কোথায় তা জানাতে পারেনি পত্রিকাটি। দিল্লী ছেড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সালমান এফ রহমান আছেন কিনা, নাকি তিনি হাসিনার সঙ্গে দিল্লীতেই অবস্থান করছেন তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিবিসর প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান হচ্ছেন ১৯৭৫ সালে জাতির জনকের সঙ্গে ঘাতকের গুলিতে নিহত শেখ হাসিনার ভাই শেখ কামালের বন্ধু। দেশের পরিস্থিতি যে ক্রমেই সরকারের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেটি তিনি ৫ আগস্টের আগেই বুঝতে পেরেছিলেন।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুসারে, তিনি শেখ হাসিনাকে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে নিরাপদে সরে যাওয়ার অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু একরোখা শেখ হাসিনা তাতে কর্ণপাত করেননি।

তবে পরবর্তীতে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার বিশাল মিছিল গণভবনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের পরামর্শ এবং শেখ রেহানা ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের অনুরোধে তিনি পদত্যাগে সম্মত হন।