সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটেছে গত ৫ আগস্ট। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে দেশ। গোটা দেশে লেগেছে পরিবর্তনের ছোয়া। সেই পরিবর্তনের ঢেউ এসে লেগেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত ১৬ বছর অবহেলিত, অবাঞ্জিত, অবমূল্যায়িত ক্রিকেট সংগঠকরা বিসিবিপ্রধান পদ থেকে নাজমুল হাসান পাপন ও বোর্ড পরিচালক পর্ষদের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। তাদের একটাই দাবি, আওয়ামী সরকারের আশির্বাদপুষ্ট এবং আওয়ামী লীগ সমর্থনপুষ্ট বোর্ড ভেঙে অন্তর্বতীকালীন বোর্ড গঠন করতে হবে। বিসিবি ও তার আশপাশে সে দাবি উঠছে জোরে-সোরে।
শোনা যাচ্ছে, সেই দাবির মুখে বিসিবিপ্রধানের পদ থেকে সরে দাড়ানোর চিন্তা করছেন পাপন। মানে পদত্যাগ করবেন তিনি। নিজ মুখে না বললেও বোর্ডের পরিচালক পর্ষদের মধ্য থেকেই খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে, পাপন আর বিসিবি সভাপতি হিসেবে থাকতে চান না। পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন তিনি।
খবরটি এমনভাবে প্রচার হয়েছে যে, সবাই ধরেই নিয়েছেন বিসিবি পরিচালক পর্ষদের সভাপতির পদে আর দেখা যাবে না পাপনকে। হয়তো খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন তিনি।
বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে একটি কৌতুহলি প্রশ্ন জেগেছে যে, কবে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবেন নাজমুল হাসান পাপন?
যতদূর জানা গেছে, দেশে নেই পাপন। তাই পদত্যাগের দিনক্ষণ জানাও কঠিন। তারপরও বোর্ডের এক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, পাপন নিজের সিদ্ধান্তে স্থির হয়েছেন। ভেতরে ভেতরে পদত্যাগের কাজ গুছিয়ে ফেলছেন। আগামী ২০ আগস্টের মধ্যেই হয়তো বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করবেন পাপন।
নিজস্ব সূত্রের বরাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেটি হলো, পাপন সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও বিসিবি পরিচালক পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করবেন না। এর অর্থ হলো, আগামী মঙ্গলবার নাগাদ তিনি যে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন, সেটা হবে বোর্ড প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা।