ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিবলী, ছায়েদুর ও হিরুসহ ১১ ব্যক্তির বিও অ্যাকাউন্ট স্থগিতের নির্দেশ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • 17

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও তার ছেলে জুহায়ের শাহরিয়ার ইসলামসহ ১১ ব্যক্তির বেনিফিসিয়াল ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও অ্যকাউন্ট) স্থগিত করা হয়েছে।

বিএসইসি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) নির্দেশ দিয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আর যাদের বিও অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে, তারা হচ্ছেন- ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোঃ ছায়েদুর রহমান ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম; বিতর্কিত বিনিয়োগকারী সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিয়ন্ত্রক মোঃ আবুল খায়ের ওরফে হিরু, তার স্ত্রী ব্রোকারহাউজ মোনার্ক হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সাদিয়া হাসান, হিরুর পিতা আবুল কালাম মাতবর, বোন কনিকা আফরোজ ও ভাই সাজেদ মাতবর।

এ তালিকায় আরও আছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আর্থিক প্রতারণা করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও মোনার্ক হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান জাবেদ এ মতিন এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান সিডব্লিউটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিজা চৌধুরী। জাবেদ এ মতিন ও মনিজা চৌধুরী বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বন্ধু।

আলোচিত ব্যক্তিদের বিও অ্যাকাউন্ট স্থগিত করায় এসব অ্যাকাউন্টে কোনো শেয়ার কেনাবেচা করা যাবে না। শেয়ার স্থানান্তরও বন্ধ থাকবে। কিন্তু আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নামে বর্তমানে কোনো বিও অ্যাকাউন্ট আছে কি না তা জানা যায়নি। বিধি অনুসারে, বিএসইসির কোনো কর্মকর্তার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ নেই। তিনি ২০২০ সালের ১৭ মে থেকে চলতি বছরের ১২ আগস্ট পর্যন্ত বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। বিএসইসিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি তার সব বিও হিসাব বন্ধ করে দিয়ে এসেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন।

তবে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাকালেও শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বেনামী বিও অ্যাকাউন্টে শেয়ার কেনাবেচা করেছেন বলে একটি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসের মাথায় তার বন্ধু জাবেদ এ মতিন আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজে একটি বিও হিসাব খুলেন, যার শতভাগ নমিনি করা হয় শিবলীর ছেলে জুহায়ের শাহরিয়ার ইসলামকে। শিবলীর নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০ লাখ টাকা তুলে তার ছাত্র ও কারসাজি চক্রের অন্যতম হোতা আবুল খায়ের হিরুর ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়, সেখান থেকে ওই টাকা জুহায়ের ইসলামের বিও হিসেবে চলে যায়। এছাড়া হিরো তিন দফায় ওই অ্যাকাউন্টে আরও ৭০ লাখ টাকা জমা করে।

আলোচিত ব্যক্তিদের বিও হিসাব স্থগিত করার একদিন আগে (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও তাঁর ছেলে জুহায়ের সারার ইসলাম, বিএমবিএ’র সাবেক সভাপতি মোঃ ছায়েদুর রহমান, মোঃ আবুল খায়ের, জাভেদ এ মতিন এবং মনিজা চৌধুরীসহ আট ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে।

ট্যাগস

শিবলী, ছায়েদুর ও হিরুসহ ১১ ব্যক্তির বিও অ্যাকাউন্ট স্থগিতের নির্দেশ

আপডেট সময় ১২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও তার ছেলে জুহায়ের শাহরিয়ার ইসলামসহ ১১ ব্যক্তির বেনিফিসিয়াল ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও অ্যকাউন্ট) স্থগিত করা হয়েছে।

বিএসইসি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) নির্দেশ দিয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আর যাদের বিও অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে, তারা হচ্ছেন- ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোঃ ছায়েদুর রহমান ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম; বিতর্কিত বিনিয়োগকারী সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিয়ন্ত্রক মোঃ আবুল খায়ের ওরফে হিরু, তার স্ত্রী ব্রোকারহাউজ মোনার্ক হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সাদিয়া হাসান, হিরুর পিতা আবুল কালাম মাতবর, বোন কনিকা আফরোজ ও ভাই সাজেদ মাতবর।

এ তালিকায় আরও আছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আর্থিক প্রতারণা করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও মোনার্ক হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান জাবেদ এ মতিন এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান সিডব্লিউটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিজা চৌধুরী। জাবেদ এ মতিন ও মনিজা চৌধুরী বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বন্ধু।

আলোচিত ব্যক্তিদের বিও অ্যাকাউন্ট স্থগিত করায় এসব অ্যাকাউন্টে কোনো শেয়ার কেনাবেচা করা যাবে না। শেয়ার স্থানান্তরও বন্ধ থাকবে। কিন্তু আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নামে বর্তমানে কোনো বিও অ্যাকাউন্ট আছে কি না তা জানা যায়নি। বিধি অনুসারে, বিএসইসির কোনো কর্মকর্তার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ নেই। তিনি ২০২০ সালের ১৭ মে থেকে চলতি বছরের ১২ আগস্ট পর্যন্ত বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। বিএসইসিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি তার সব বিও হিসাব বন্ধ করে দিয়ে এসেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন।

তবে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাকালেও শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বেনামী বিও অ্যাকাউন্টে শেয়ার কেনাবেচা করেছেন বলে একটি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসের মাথায় তার বন্ধু জাবেদ এ মতিন আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজে একটি বিও হিসাব খুলেন, যার শতভাগ নমিনি করা হয় শিবলীর ছেলে জুহায়ের শাহরিয়ার ইসলামকে। শিবলীর নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০ লাখ টাকা তুলে তার ছাত্র ও কারসাজি চক্রের অন্যতম হোতা আবুল খায়ের হিরুর ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়, সেখান থেকে ওই টাকা জুহায়ের ইসলামের বিও হিসেবে চলে যায়। এছাড়া হিরো তিন দফায় ওই অ্যাকাউন্টে আরও ৭০ লাখ টাকা জমা করে।

আলোচিত ব্যক্তিদের বিও হিসাব স্থগিত করার একদিন আগে (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও তাঁর ছেলে জুহায়ের সারার ইসলাম, বিএমবিএ’র সাবেক সভাপতি মোঃ ছায়েদুর রহমান, মোঃ আবুল খায়ের, জাভেদ এ মতিন এবং মনিজা চৌধুরীসহ আট ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে।