কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিওজয়ানের জুটিতে চাপ বাড়তেই ছিল বাংলাদেশের উপর। সেঞ্চুরির পর ডাবল সেঞ্চুরিও পার করে ফেলে এই জুটি। অবশেষে রাওয়ালপিন্ডির পিচে আঠার লেগে থাকা ২৪০ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৯৫তম ওভারে মেহেদীর শর্ট লেন্থে করা শেষ বলে কিছুটা সামনে এগিয়ে এসে কভার অঞ্চলে খেলতে চেয়েছিলেন শাকিল। কিন্তু তাতে পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটার। বল গ্লাভসে জমা করে দ্রুতগতিতে স্টাম্পড করেন লিটন দাস। রিভিউতে দেখা যায়, পিচলাইনের উপর কোনোমতে শাকিলের পা স্পর্শ করে আছে। বহু বিবেচনার পর অবশেষে আউটের সিদ্ধান্ত জানান তৃতীয় আম্পায়ার।
এতে দলীয় ৩৫৪ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেটের পতন হলো পাকিস্তানের।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৯৭ ওভারের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৬৫ রান। রিজওয়ান ১৩৩ আর সালমান আলি আগা ১৩ রানে অপরাজিত আছেন।
শাকিল ও রিজওর্য়ানের আজ বৃহস্পতিবার ব্যাটে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। এর আগে প্রথম দিনে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান করে পাকিস্তান। ফিফটি করে আউট হয়েছেন সাইম আইয়ুব (৫৬)।
ভেজা পিচে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পিচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন বাংলাদেশের পেসাররা। ১৬ রানের মধ্যে তারা তুলে নেন ৩টি উইকেট। যদিও পরে এই চাপ ধরে রাখা যায়নি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই আঘাত হানেন টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ। মাত্র ২ রান করে গালিতে জাকির হাসানের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হন আবদুল্লাহ শফিক। ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর জোড়া শিকার করেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। পাকিস্তান অধিনায়ককে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়েছেন তিনি। ১১ বলে ৬ রান করতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শান মাসুদ।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে বাবর আজমকে সাজঘরের পথ দেখান শরিফুল। ২ বল খেললেও কোনো রান করতে পারেননি পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার। উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।