ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি দুই লাখ মানুষ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • 13

চাঁদপুরে ৬ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। উল্টো বানের পানিতে নতুন করে চাঁদপুর সদর ও কচুয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এখন পর্যন্ত জেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরমধ্যে শুধু শাহরাস্তি উপজেলায় গত তিনদিনে প্রায় ৬০-৭০ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে সহস্রাধিক পরিবার।

এদিকে অতিবৃষ্টি পান খ্যাত চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার কৃষকদের সর্বস্বান্ত করে ফেলেছে। পুরো উপজেলার সব কটি পানের বরজ এখন নিমজ্জিত। ৯০ হেক্টর জমির পান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্ল্যাহর দেওয়া তথ্যমতে, চাঁদপুরে ৮টি উপজেলার ৬৪টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সব প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ হাজার ৭২৬ জন মানুষ ঠাই নিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতির জন্য ৪৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত। বনবাসীদের জন্য ৬৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। বিশেষ করে জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চার লাখ ১০ হাজার টন চাল ও চার লাখ ৭০ হাজার নগদ অর্থ মজুদ আছে।

ট্যাগস

স্থবির পিএসসি, নভেম্বরে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে সংশয়

চাঁদপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি দুই লাখ মানুষ

আপডেট সময় ০১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

চাঁদপুরে ৬ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। উল্টো বানের পানিতে নতুন করে চাঁদপুর সদর ও কচুয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এখন পর্যন্ত জেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরমধ্যে শুধু শাহরাস্তি উপজেলায় গত তিনদিনে প্রায় ৬০-৭০ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে সহস্রাধিক পরিবার।

এদিকে অতিবৃষ্টি পান খ্যাত চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার কৃষকদের সর্বস্বান্ত করে ফেলেছে। পুরো উপজেলার সব কটি পানের বরজ এখন নিমজ্জিত। ৯০ হেক্টর জমির পান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্ল্যাহর দেওয়া তথ্যমতে, চাঁদপুরে ৮টি উপজেলার ৬৪টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সব প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ হাজার ৭২৬ জন মানুষ ঠাই নিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতির জন্য ৪৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত। বনবাসীদের জন্য ৬৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। বিশেষ করে জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চার লাখ ১০ হাজার টন চাল ও চার লাখ ৭০ হাজার নগদ অর্থ মজুদ আছে।