ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • 22

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এই গণহত্যাকাণ্ডে উসকানি দেওয়ায় ৩২ জন সিনিয়র সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আইসিটি’র তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে আন্দোলনে নিহত নাসিফ হাসান রিয়াদের বাবা মো. গোলাম রাজ্জাকের পক্ষে এ অভিযোগ দায়ের করেন আইনজীবী গাজী এইচ তামিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী এমএইচ গাজী তামিম বলেন, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডে বিজয় মিছিল চলাকালে গুলিতে নিহত হয় রিহান। সে মিরপুর বিসিআইসি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালালে রিহানের মুখে, মাথায় ও গলায় গুলি লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। যেসব সাংবাদিক ৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গণহত্যা চালিয়ে নেওয়ার উসকানি দেন, তাদেরকে আসামি করা হয়েছে বলে এই আইনজীবী জানান।

আসামিরা হলেন– সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ্দুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী মো. আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক র‍্যাবের মহাপরিচালক মো. হারুন অর রাশিদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, বহিষ্কৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আদাবর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুব রহমান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, নিঝুম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেজবাহ কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

এ ছাড়া ৩২ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- মোজাম্মেল বাবু, নবনীতা চৌধুরী, সুভাষ সিংহ রায়, আহমেদ জোবায়ের, তুষার আব্দুল্লাহ, সাইফুল আলম, নঈম নিজাম, আবেদ খান, প্রভাষ আমিন, ফারজানা রুপা, শাকিল আহমেদ, মিথিলা ফারজানা, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মনজুরুল আহসান বুলবুল, আশীস সৈকত, মানষ ঘোষ, প্রণব সাহা, মাসুদা ভাট্টি, মুন্নী সাহা, জ ই মামুন, স্বদেশ রায়, সোমা ইসলাম, শ্যামল দত্ত, অজয় দাশ, নাইমুল ইসলাম খান, ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, ফরিদা ইয়াসমিন, নিঝুম মজুমদার, আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ।

গত ১৪ আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সাভারের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবীর এ আবেদন করেন।

ট্যাগস

৩২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এই গণহত্যাকাণ্ডে উসকানি দেওয়ায় ৩২ জন সিনিয়র সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আইসিটি’র তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে আন্দোলনে নিহত নাসিফ হাসান রিয়াদের বাবা মো. গোলাম রাজ্জাকের পক্ষে এ অভিযোগ দায়ের করেন আইনজীবী গাজী এইচ তামিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী এমএইচ গাজী তামিম বলেন, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডে বিজয় মিছিল চলাকালে গুলিতে নিহত হয় রিহান। সে মিরপুর বিসিআইসি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালালে রিহানের মুখে, মাথায় ও গলায় গুলি লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। যেসব সাংবাদিক ৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গণহত্যা চালিয়ে নেওয়ার উসকানি দেন, তাদেরকে আসামি করা হয়েছে বলে এই আইনজীবী জানান।

আসামিরা হলেন– সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ্দুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী মো. আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক র‍্যাবের মহাপরিচালক মো. হারুন অর রাশিদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, বহিষ্কৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আদাবর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুব রহমান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, নিঝুম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেজবাহ কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

এ ছাড়া ৩২ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- মোজাম্মেল বাবু, নবনীতা চৌধুরী, সুভাষ সিংহ রায়, আহমেদ জোবায়ের, তুষার আব্দুল্লাহ, সাইফুল আলম, নঈম নিজাম, আবেদ খান, প্রভাষ আমিন, ফারজানা রুপা, শাকিল আহমেদ, মিথিলা ফারজানা, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মনজুরুল আহসান বুলবুল, আশীস সৈকত, মানষ ঘোষ, প্রণব সাহা, মাসুদা ভাট্টি, মুন্নী সাহা, জ ই মামুন, স্বদেশ রায়, সোমা ইসলাম, শ্যামল দত্ত, অজয় দাশ, নাইমুল ইসলাম খান, ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, ফরিদা ইয়াসমিন, নিঝুম মজুমদার, আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ।

গত ১৪ আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সাভারের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবীর এ আবেদন করেন।