৮৬ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে টেনে নিচ্ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সঙ্গে বাংলাদেশের উপর পাকিস্তানের লিডের বোঝা ভারী হচ্ছিল। যে কারণে রিজওয়ান হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের পথের কাঁটা। হঠাৎ জোড়া আঘাত করেন হাসান মাহমুদ।
ফিফটির দিকে (৭৩ বলে ৪৩) ছুটতে থাকা রিজওয়ানকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতের ক্যাচ বানান হাসান। পরের বলেই নতুন ব্যাটার মোহাম্মদ আলিকে (১ বলে ০) নাজমুল হোসেন শান্তর তালুতে বন্দি করেন টাইগার পেসার। ওভার শেষ হওয়ার কারণে হ্যাটট্রিক বল করতে পারেননি তিনি। সাকিব আল হাসানের ওভারকে স্যান্ডউইচ বানিয়ে পরের ওভারে বোলিং আসলেও হ্যাটট্রিক পাননি ডানহাতি পেসার।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৯ ওভারের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৫ রান। আবরার আহমেদ ২ আর সালমান আলি আগা ২৪ রানে অপরাজিত আছেন। পাকিস্তানের লিড এখন ১৫৭ রানের।
সোমবার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। তখন স্বাগতিকদের লিড ১২ রানের।
১২ রানের লিড নিয়ে পাকিস্তান দিনের শুরুতে দেখেশুনে ব্যাটিং করছিল। ৩৮ রানের জুটি করেন সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদ। তাসকিন আহমেদ সাইমকে ২০ রানে ফেরালে জুটি ভাঙে। তাসকিনের ফুল লেন্থের বল মিড অফে ড্রাইভ করছিলেন সাইম। বাঁপাশে সামান্য ঝাপিয়ে পড়ে বল তালুবন্দি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান।
দল চাপে থাকলেও স্বভাবসুলভ হয়ে ওয়ানডে মেজাজেই খেলছিলেন মাসুদ। সতর্কতার পাশাপাশি বাউন্ডারিও নিচ্ছিলেন তিনি। তবে পাকিস্তান অধিনায়কের বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলার তত্ত্ব বেশিক্ষণ কার্যকর হতে দেননি নাহিদ রানা। শর্ট লেন্থের বল দিয়ে মাসুদকে (৩৪ বলে ২৮) উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানান টাইগার পেসার।
ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে বাবরের উইকেটও তুলে নেন রানা। প্রথম স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতের ক্যাচ হন বাবর (১৮ বলে ১১)।
এরপর সউদ শাকিলকে সাজঘরের পথ দেখান রানা। তাকে উইটেরক্ষক লিটনের ক্যাচ বানান টাইগার পেসার। মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরত যান পাকিস্তান সহ অধিনায়ক। ৮১ রানেই ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
তার আগে লিটন দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২৬২ রান করে বাংলাদেশ।