ইউরোর সেমিফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে বিদায় নেয়াকে কিলিয়ান এমবাপে অভিহিত করেছিলেন, হতাশা এবং ঘৃণার। দলকে যেভাবেই হোক আবার জয়ের রাস্তায় নিয়ে আসতে চান তিনি। কারণ, জয়ছাড়া আর কোনো কিছু ভাবতেও পারেন না তিনি।
কিন্তু যে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে প্যারিসের পার্ক ডি প্রিন্সেসে খেলতে নেমেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা, তার ছিটেফোটাও দেখাতে পারেননি। বরং, উল্টো ঘরের মাঠে উয়েফা নেশন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে ফ্রান্স।
অথচ ম্যাচের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। একেবারে শুরুতেই, প্রথম মিনিটে ইতালির জালে বল জড়িয়ে দেন ব্র্যাডলি বারকোলা। দর্শকরা নড়েচড়ে আসন নিয়ে বসার আগেই, মাত্র ১২ সেকেন্ডের মাথায় গোল হজম করে ফেলে ইতালি। জিওভান্নি ডি লোরেঞ্জোকে ফাঁকি দিয়ে দ্রুততম সময়ে শট নেন বারকোলা। যেটা ফাঁকি দেয় গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমাকেও।
ফ্রান্সের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম গোল করলেন বারকোলা। মজার বিষয় হলো, এই গোলটি আবার ফ্রান্সের জার্সিতে তার প্রথম। অর্থাৎ, নিজের প্রথম গোলটাকেই ইতিহাসের পাতায় তুলে দিলেন এই পিএসজি তারকা।
উড়ন্তা সূচনার পরও শেষ পর্যন্ত হারতে হলো ফ্রান্সকে। শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও খেলার লাগাম নিজেদের হাত থেকে ছাড়েনি লুসিয়ানো স্পালেত্তির শিষ্যরা। ৩০তম মিনিটেই দলকে সমতায় ফেরান ফেডেরিকো ডিমার্কো। সান্দ্রো তোনালির পাস থেকে বল পেয়ে ফরাসীদের জালে জড়িয়ে দেন ডিমার্কো।
প্রথমার্ধ শেষ হলো ১-১ সমতায়। দ্বিথীয়ার্ধের ৫ম মিনিটেই ইতালিকে এগিয়ে দেন ডেভিড ফ্রাত্তেসি। এরপর ৭৪তম মিনিটে জয় নিশ্চিত করা গোল করেন গিয়াকোমো রাসপেদোরি।
দুই দলই ইউরোয় বাজে পারফরম্যান্স থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় ছিল এই ম্যাচে। কিন্তু সফল হলো আজ্জুরিরা। কিলিয়ান এমবাপের দুর্ভাগ্য, তার শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ইতালি গোলরক্ষক।
ইতালি কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি বলেন, ‘অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ ছিল, সন্দেহ নেই। আমরা শঙ্কিত ছিলাম যে সে (তোনালি) হয়তো পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুটি অসাধারণ পাস দিয়েছিলো সে। আমরা সত্যি দারুণ একজন খেলোয়াড়কে পেয়ে গেলাম।’