দেশে মার্কিন ডলার নিয়ে সংকট তৈরি হওয়ায় ২০২২ সালে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। একাধিক পণ্যের ওপর শতভাগ মার্জিন আরোপের পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণসুবিধা প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার ফলে তা তুলে নিয়েছে সংস্থাটি।
তবে আগের মতো বিলাসী কিছু পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র বা এলসি খোলার ক্ষেত্রে শতভাগ টাকা জমা রাখার শর্ত বহাল রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার ও লেনদেনের স্থিতিশীলতায় কাঙ্ক্ষিত হারে ক্রমোন্নতি হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে আমদানি বাণিজ্য সহজীকরণের মাধ্যমে দেশের ব্যবসা–বাণিজ্য ও শিল্প খাতকে গতিশীল করে তোলা এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এ জন্য আমদানি ঋণপত্র বা এলসি খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণের জন্য নতুন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তবে কিছু পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে শতভাগ মার্জিন জমা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায়। এসব পণ্য হলো মোটর কার; ইলেকট্রনিক হোম বা অফিস অ্যাপ্লায়েন্স; স্বর্ণ ও স্বর্ণালংকার; মূল্যবান ধাতু ও মুক্তা; তৈরি পোশাক; চামড়াজাত পণ্য; পাটজাত পণ্য; আসবাব ও সাজসজ্জা সামগ্রী; ফল ও ফুল; নন–সিরিয়াল ফুড অর্থাৎ অ-শস্য খাদ্যপণ্য; প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় বা টিনজাত (ক্যান) খাদ্য, চকলেট, বিস্কুট, জুস, কফি, সফট ড্রিংকস; অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় এবং তামাক ও তামাকজাত বা এর বিকল্প পণ্য।