ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে এখনো সাড়ে ১১ লাখ মানুষ পানিবন্দি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 7

নোয়াখালীর চাটখিল, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলার দুই লাখ ২৬ হাজার পরিবারের সাড়ে ১১ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় আছে। এসব এলাকায় ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ৩৫ হাজার মানুষ আশ্রিত হয়ে আছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসন সূত্র এসব তথ্য জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান বলেন, জেলার ৮ উপজেলার সাত পৌরসভার ও ৮৭টি ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে চার উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের দুই লাখ ২৬ হাজার ১৫ পরিবারের ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ জন এখনো পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরমধ্যে চাটখিলের ১০ ইউনিয়নের দুই লাখ, বেগমগঞ্জের ১৭ ইউনিয়নের চারলাখ ৭০ হাজার ৩০০, সোনাইমুড়ীর ১১ ইউনিয়নের এক লাখ ৭০ হাজার ও সেনবাগের ১০ ইউনিয়নের তিন লাখ ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।

মো. জাহিদ হাসান খান আরও বলেন, চার উপজেলার ৩৪৯ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৪৪১ জন আশ্রিত হয়ে আছে। এরমধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ২২০ জন, মহিলা ১২ হাজার ৮৭৫ জন, শিশু ১০ হাজার ৯৫০ জন, প্রতিবন্ধী ৩৯৬ জন রয়েছেন। এছাড়া গরু-মহিষ এক হাজার ৫০০ ও ৩৫০টি ছাগল-ভেড়াকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের কাছে এখনো নগদ ২৯ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা, সাড়ে ৫১ মেট্রিকটন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য মজুত রয়েছে।

ট্যাগস

নোয়াখালীতে এখনো সাড়ে ১১ লাখ মানুষ পানিবন্দি

আপডেট সময় ০১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীর চাটখিল, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলার দুই লাখ ২৬ হাজার পরিবারের সাড়ে ১১ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় আছে। এসব এলাকায় ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ৩৫ হাজার মানুষ আশ্রিত হয়ে আছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসন সূত্র এসব তথ্য জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান বলেন, জেলার ৮ উপজেলার সাত পৌরসভার ও ৮৭টি ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে চার উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের দুই লাখ ২৬ হাজার ১৫ পরিবারের ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ জন এখনো পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরমধ্যে চাটখিলের ১০ ইউনিয়নের দুই লাখ, বেগমগঞ্জের ১৭ ইউনিয়নের চারলাখ ৭০ হাজার ৩০০, সোনাইমুড়ীর ১১ ইউনিয়নের এক লাখ ৭০ হাজার ও সেনবাগের ১০ ইউনিয়নের তিন লাখ ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।

মো. জাহিদ হাসান খান আরও বলেন, চার উপজেলার ৩৪৯ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৪৪১ জন আশ্রিত হয়ে আছে। এরমধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ২২০ জন, মহিলা ১২ হাজার ৮৭৫ জন, শিশু ১০ হাজার ৯৫০ জন, প্রতিবন্ধী ৩৯৬ জন রয়েছেন। এছাড়া গরু-মহিষ এক হাজার ৫০০ ও ৩৫০টি ছাগল-ভেড়াকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের কাছে এখনো নগদ ২৯ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা, সাড়ে ৫১ মেট্রিকটন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য মজুত রয়েছে।