তেল আবিবে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এর আগে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে দফায় দফায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলে এই নজিরবিহীন হামলায় হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
লেবাননের হামলার পরই পাল্টা হামলা হিসেবে তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লেবানন থেকে মধ্য ইসরায়েলের দিকে ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র খোলা জায়গায় গিয়ে পড়েছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
বিশ্ব নেতাদের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আহ্বানে সাড়া না দিয়ে লেবাননে অব্যাহত প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গত সোমবারের পর লেবাননে সাত শতাধিক নিহত হয়েছেন।
এদিকে গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় চালানো হামলায় ৪১ হাজার ৫৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৯২ জন। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশই নিজেদের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। এবার সে তালিকায় যুক্ত হয়েছে জাপানও।
জাপানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জর্ডানে একটি সামরিক প্লেন পাঠানোর পরিকল্পনা করছে জাপান সরকার। সেখান থেকে লেবাননে আটকে পড়াদের নিয়ে আসা হবে।
এর আগে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত বন্ধে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশটির পশ্চিমা ও আরব মিত্ররা। তবে তা প্রত্যাখান করে লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে সর্বশক্তি দিয়ে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহুর এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির খবর সত্য নয়। এদিকে, নেতানিয়াহুর দপ্তর বলেছে, যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের। প্রধানমন্ত্রী এটি এখন পর্যন্ত দেখেননি, কোনো জবাবও দেননি। ইসরায়েলি বাহিনীগুলোকে দেওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।