ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেক্সিমকোর ৪ প্রতিষ্ঠান কিনতে চাই বিদেশি কোম্পানি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • 16

দেশের আলোচিত শিল্প প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের চার প্রতিষ্ঠান কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুবাই ভিত্তিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডসাম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট এলএলসি।

বেক্সিমকোর কোম্পানি চারটি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, তিস্তা সোলার লিমিটেড এবং বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেড।

দুবাইস্থ অ্যাডসাম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে বেক্সিমকোর প্রতিষ্ঠানগুলো কেনার আগ্রহের কথা জানিয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দুবাইভিত্তিক বিনিয়োগকারীদের একটি কনসোর্টিয়াম কোম্পানি চারটি কিনতে আগ্রহী। এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। তবে অ্যাডসাম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেনি।

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা চিঠিটি ‘পর্যালোচনা ও পরীক্ষা করার’ জন্য বাণিজ্য সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নিয়ন্ত্রণাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসক বসানোর জন্য গত ৫ সেপ্টেম্বর আদালত একটি নির্দেশনা জারি করেছেন।

তবে বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা স্থগিত চেয়ে আপিল করা হয়েছে। গ্রুপটির কর্ণধার সালমান এফ রহমান বর্তমানে জেলে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে।

দুবাইয়ের অ্যাডসাম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার যদি বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলো বিক্রি অথবা পুনর্গঠন করতে চায়, তাহলে সেগুলো কিনে নিতে তারা আগ্রহী।

এ বিষয়ে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যমান আইনে এভাবে কোনো কোম্পানি বিক্রি করার সুযোগ নেই। যদি কোনো কোম্পানি ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ে এবং ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান অর্থ ঋণ আদালতে মামলা করেন সে ক্ষেত্রেই কেবল এমন সুযোগ তৈরি হতে পারে। আদালত কোম্পানির সম্পদ বিক্রি করে ঋণ সমন্বয়ের আদেশ দিলে নিলামে তা বিক্রি করা সম্ভব। বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে এখনো এমন অবস্থা তৈরি হয়নি।

অ্যাডামসের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অধিগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ অবশ্যই স্বাভাবিক এবং যথাযথ পদ্ধতি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার উপরে নির্ভরশীল। এতে সতর্কতা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোম্পানিগুলোকে চলমান সত্তা হিসেবে বিক্রি করতে হবে এবং বিক্রির সময় প্রশাসক নিয়োগ অবস্থায় থাকতে পারবে না।

চিঠিতে বলা হয়, ‘আমাদের প্রস্তাবটি বাধ্যতামূলক নয় এবং আরও পর্যাবেক্ষণ সাপেক্ষ। আপনি বুঝতে পারবেন, যে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হলে তার বিভিন্ন উপাদান নিয়ে বিবেচনা করা উচিত এবং নিয়ন্ত্রক ও আইনি আনুষ্ঠানিকতাগুলো সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূরণ করা আবশ্যক।’

এ বিষয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার ও সহ-সভাপতি সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা বেক্সিমকোতে এমন কোনো প্রস্তাব পাইনি।

ট্যাগস

বেক্সিমকোর ৪ প্রতিষ্ঠান কিনতে চাই বিদেশি কোম্পানি

আপডেট সময় ০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

দেশের আলোচিত শিল্প প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের চার প্রতিষ্ঠান কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুবাই ভিত্তিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডসাম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট এলএলসি।

বেক্সিমকোর কোম্পানি চারটি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, তিস্তা সোলার লিমিটেড এবং বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেড।

দুবাইস্থ অ্যাডসাম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে বেক্সিমকোর প্রতিষ্ঠানগুলো কেনার আগ্রহের কথা জানিয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দুবাইভিত্তিক বিনিয়োগকারীদের একটি কনসোর্টিয়াম কোম্পানি চারটি কিনতে আগ্রহী। এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। তবে অ্যাডসাম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেনি।

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা চিঠিটি ‘পর্যালোচনা ও পরীক্ষা করার’ জন্য বাণিজ্য সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নিয়ন্ত্রণাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসক বসানোর জন্য গত ৫ সেপ্টেম্বর আদালত একটি নির্দেশনা জারি করেছেন।

তবে বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা স্থগিত চেয়ে আপিল করা হয়েছে। গ্রুপটির কর্ণধার সালমান এফ রহমান বর্তমানে জেলে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে।

দুবাইয়ের অ্যাডসাম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার যদি বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলো বিক্রি অথবা পুনর্গঠন করতে চায়, তাহলে সেগুলো কিনে নিতে তারা আগ্রহী।

এ বিষয়ে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যমান আইনে এভাবে কোনো কোম্পানি বিক্রি করার সুযোগ নেই। যদি কোনো কোম্পানি ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ে এবং ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান অর্থ ঋণ আদালতে মামলা করেন সে ক্ষেত্রেই কেবল এমন সুযোগ তৈরি হতে পারে। আদালত কোম্পানির সম্পদ বিক্রি করে ঋণ সমন্বয়ের আদেশ দিলে নিলামে তা বিক্রি করা সম্ভব। বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে এখনো এমন অবস্থা তৈরি হয়নি।

অ্যাডামসের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অধিগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ অবশ্যই স্বাভাবিক এবং যথাযথ পদ্ধতি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার উপরে নির্ভরশীল। এতে সতর্কতা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোম্পানিগুলোকে চলমান সত্তা হিসেবে বিক্রি করতে হবে এবং বিক্রির সময় প্রশাসক নিয়োগ অবস্থায় থাকতে পারবে না।

চিঠিতে বলা হয়, ‘আমাদের প্রস্তাবটি বাধ্যতামূলক নয় এবং আরও পর্যাবেক্ষণ সাপেক্ষ। আপনি বুঝতে পারবেন, যে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হলে তার বিভিন্ন উপাদান নিয়ে বিবেচনা করা উচিত এবং নিয়ন্ত্রক ও আইনি আনুষ্ঠানিকতাগুলো সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূরণ করা আবশ্যক।’

এ বিষয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার ও সহ-সভাপতি সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা বেক্সিমকোতে এমন কোনো প্রস্তাব পাইনি।