ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্বল ব্যাংকগুলো রোববার থেকে আমানতকারীদের টাকা দিতে পারবে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • 3

আগামী রোববার থেকে দুর্বল ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের টাকা দিতে পারবে। নগদ অর্থের সংকট কাটাতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকখাতে অস্থিরতা দূর করতে চায়। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে, গ্রাহকদের আমানত নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, এনিয়ে মাথাব্যথা বাংলাদেশ ব্যাংকের।

ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা খারাপ হচ্ছে না বরং আগে থেকেই খারাপ ছিল। এখন সে অবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর বলেন, তিনি জানান, নতুন করে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ৬টি ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে। আমানতকারীদের কথা ভেবেই টাকা না ছাপানোর বিষয়ে নিজ অবস্থান থেকে সরে আসতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

তবে সব আমানতকারী একসাথে টাকা তুলে নিলে বিশ্বের কোনো ব্যাংকই টিকতে পারে না– একথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

তিনি বলেন, এতে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে না বলেও জানান গভর্নর। তিনি বলেন, ‘আমরা একদিকে তারল্য দেব, অন্যদিকে পুরানো টাকা আস্তে আস্তে বাজার থেকে সরিয়ে নেব। এতে করে টাকার নেট রিজার্ভের পরিমাণ বাড়বে না।’

বর্তমানে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে, একইসাথে তাদের কড়াভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে– এটাই হাসিনার আমলে টাকা ছাপানোর সাথে বর্তমান উদ্যোগের বড় পার্থক্য বলে উল্লেখ করেন আহসান এইচ মনসুর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণর বলেন, তখন যারা অনিয়ম-জালিয়াতি করছিল- তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই নতুন করে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হচ্ছিল।

ট্যাগস

দুর্বল ব্যাংকগুলো রোববার থেকে আমানতকারীদের টাকা দিতে পারবে

আপডেট সময় ০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

আগামী রোববার থেকে দুর্বল ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের টাকা দিতে পারবে। নগদ অর্থের সংকট কাটাতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকখাতে অস্থিরতা দূর করতে চায়। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে, গ্রাহকদের আমানত নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, এনিয়ে মাথাব্যথা বাংলাদেশ ব্যাংকের।

ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা খারাপ হচ্ছে না বরং আগে থেকেই খারাপ ছিল। এখন সে অবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর বলেন, তিনি জানান, নতুন করে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ৬টি ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে। আমানতকারীদের কথা ভেবেই টাকা না ছাপানোর বিষয়ে নিজ অবস্থান থেকে সরে আসতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

তবে সব আমানতকারী একসাথে টাকা তুলে নিলে বিশ্বের কোনো ব্যাংকই টিকতে পারে না– একথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

তিনি বলেন, এতে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে না বলেও জানান গভর্নর। তিনি বলেন, ‘আমরা একদিকে তারল্য দেব, অন্যদিকে পুরানো টাকা আস্তে আস্তে বাজার থেকে সরিয়ে নেব। এতে করে টাকার নেট রিজার্ভের পরিমাণ বাড়বে না।’

বর্তমানে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে, একইসাথে তাদের কড়াভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে– এটাই হাসিনার আমলে টাকা ছাপানোর সাথে বর্তমান উদ্যোগের বড় পার্থক্য বলে উল্লেখ করেন আহসান এইচ মনসুর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণর বলেন, তখন যারা অনিয়ম-জালিয়াতি করছিল- তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই নতুন করে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হচ্ছিল।