ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 1

হোয়াইট হাউজের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন পাকিস্তান যে দীর্ঘ পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা তৈরি করছে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদীয়মান হুমকি। কারণ এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ এশিয়ার বাইরেও হামলা চালাতে সক্ষম হবে। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-উপদেষ্টা জন ফিনারের এমন মন্তব্যের পর বোঝা যাচ্ছে এক সময়ের ঘনিষ্ঠ ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যে এখন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কতটা দূরত্ব বেড়েছে।

মূলত ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে দেশ দুইটির মধ্যে সম্পর্ক অবনতি হয়েছে। ফিনার বলেন, পাকিস্তান ক্রমবর্ধমানভাবে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি উন্নয়নের কাজ করে চলছে। এর মধ্যে আছে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম, যা দেশটিকে উল্লেখযোগ্য বড় রকেট মোটর পরীক্ষায় সক্ষম করে তুলবে। তিনি আরও বলেন, যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা রাখবে পাকিস্তান। এই লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও থাকবে।

এর আগে দেশটির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারি সংস্থা ও একাধিক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার আওতায় প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের রাষ্ট্র পরিচালিত একটি প্রতিরক্ষা সংস্থা এসেছে, যেটি এ-সংক্রান্ত কর্মসূচি দেখভাল করে থাকে।

সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা

ট্যাগস

সিরিয়ায় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি

পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি

আপডেট সময় ০৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

হোয়াইট হাউজের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন পাকিস্তান যে দীর্ঘ পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা তৈরি করছে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদীয়মান হুমকি। কারণ এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ এশিয়ার বাইরেও হামলা চালাতে সক্ষম হবে। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-উপদেষ্টা জন ফিনারের এমন মন্তব্যের পর বোঝা যাচ্ছে এক সময়ের ঘনিষ্ঠ ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যে এখন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কতটা দূরত্ব বেড়েছে।

মূলত ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে দেশ দুইটির মধ্যে সম্পর্ক অবনতি হয়েছে। ফিনার বলেন, পাকিস্তান ক্রমবর্ধমানভাবে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি উন্নয়নের কাজ করে চলছে। এর মধ্যে আছে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম, যা দেশটিকে উল্লেখযোগ্য বড় রকেট মোটর পরীক্ষায় সক্ষম করে তুলবে। তিনি আরও বলেন, যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা রাখবে পাকিস্তান। এই লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও থাকবে।

এর আগে দেশটির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারি সংস্থা ও একাধিক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার আওতায় প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের রাষ্ট্র পরিচালিত একটি প্রতিরক্ষা সংস্থা এসেছে, যেটি এ-সংক্রান্ত কর্মসূচি দেখভাল করে থাকে।

সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা